TALES OF TASTE

স্মৃতির স্বাদ

স্বাদ শুধুমাত্র খাবার খাওয়াতেই শুরু আর শেষ হয়ে য়ায় না। কবে-কখন-কোথায় খাওয়া হলো, কী খাওয়া হলো, কে রান্না করলো, কীভাবে রান্না করলো, খেতে কেমন ছিলো,কোথা থেকে জোগাড় হলো, কারা ছিলো সাথে, বা কেনো-কীভাবে সবকিছু হলো– সব মিলেমিশে স্মৃতি হয়ে জমে থাকে মনে। কিছু স্মৃতি খুব সাধারণ, কিছু আনন্দের, কিছু বেদনার, কিছু ভীতির, কিছু বা বধোদয়ের। কখনো সেই খাবারের চেয়ে তার স্থান-কাল-পাত্র বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কখনো কখনো স্থান-কাল-পাত্র হারিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে খাবারটাও হারিয়ে যায়- স্বাদ হারিয়ে যায়। এই হারানো টা প্রাকৃতিক, স্বাভাবিক, প্রভাবিত, আরপিত, প্রতিস্থাপিত, এমনকি বিতাড়িতও হতে পারে। খাবার বা স্বাদের ইতিহাস আর মানুষের জীবনযাত্রার ইতিহাস পরস্পর হাত ধরাধরি করেই হাঁটে। ‘স্মৃতির স্বাদ’ আসলে মানুষের জীবনের হারিয়ে যাওয়া এবং হারাতে বসা কিছু গল্প।

ইএমকে সেন্টার, ঢাকা- এর সহযোগিতায় লাস্টার দ্বীপ প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনে সন্ধান চালিয়ে খুঁজে এনেছে তাদের কিছু স্বাদ এবং স্মৃতি।

চাকমা জীবন ও খাবার

চাকমা সংস্কৃতির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর নিজস্বতা। ভৌগলিকভাবে চাকমাদের বাস বাংলাদেশের র্পাবত্য এলাকায় এবং প্রকৃতির সাথে তাদের সম্পর্ক আত্মিক। চাকমারা স্থানীয় সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতায় অনন্য। চাকমা খাবার প্রায় পুরোটাই স্থানীয় উপকরণে প্রস্তুত কিন্তু বৈচিত্রে অসাধারণ। আমদানিকৃত মসলা, উপকরণ বা রীতি চাকমারা খুব একটা গ্রহণ না করলেও, চাকমা খাবারের প্রভাব সমতলে এমনকি দেশের বাইরেও লক্ষ্য করা যায়।